অসিত কুমার চক্রবর্তী
হারানো জীবন
কাকভোরে শৈশবশুভ্র এক থান
খড়মের খটখট
উঠোনে লেপন
দেয়াল, উনান ভিজে
মাটির গন্ধে ভিটে
জেগে ওঠে গ্রাম
বেয়ে নামে শরীরের ঘাম।
শহরের বুক ভরা যৌবন
শব্দময় কাটে রাতদিন
ব্যানার, পোস্টার, ছবি
বিজ্ঞাপন চোখ বাঁধে
অসংখ্য স্লোগান কাঁধে
আসে যায় ক্লান্ত মিছিল
র্যাটরেস, যানজট
সোরগোল, গতিময় পথে
অদৃশ্য জাল জুড়ে দুরন্ত চিল
পর্দায়, ঘরে, বাইরে
মনিটরে খুঁজে ফেরে
কলুষ আঙুল
নিষিদ্ধ অজানারে।
অস্পৃশ্য দেহ-মনে
সবাই একক, গ্রহে
উপগ্রহে, গ্রহান্তরে ঘোরে
বহুদূরে, একা একঘরে
দূর চরে, অজানা বন্দরে
জীবন নোঙর ফেলে।
এখনো দেয়ালে সেঁটে
অকপট কর্মঠ ছাপ
হাতের আঙুল গুলো
আমৃত্যু দৃশ্যমান থান
তূষের আগুন চেপে
বিষণ্ণ জীবন মেপে
চার কুড়ি সাত, বলে গুনে
ঘামের গন্ধ ভাসে থানে
কতদূর আরো কতক্ষণ
দৃষ্টিহীন এগোবে জীবন।
শৈশব: সাদা পাতা যেন এক রিম
পরিবেশ ব্যস্ত বড়
আসক্তি, নেশা, প্রেম
হিংসা, ঘাত, প্রতিঘাত
মুখোশে আবৃত থাকে
অর্চনা: শোণিত-হিম
গোপনীয় মৃত্যুময় থীম
নীলমাছ ছবি আঁকে
পথ ভোলে জীবনের স্কীম
কৈশোর হারিয়ে যায়
শৈশব ছিল কবে
কোন যুগে আমাদের
সাদা পাতা যেন এক রীম।
"বার্ড বা চারণ কবি বিষয়ক"
"মাঝেমাঝে ভাবতে ইচ্ছে করে
অবসর পেলে বেরোব সফরে
বেলাশেষে আবার স্পেনের নগরে
অথবা ফ্রান্স, ইটালির গ্রামান্তরে
ছয়-সাত শতক পারে অতীতের ত্রুবাদুর
চলে যাবো একা হেঁটে হেঁটে বহুদূর
কাটিয়ে দেব জীবনের শেষ ক'টা দিন
অথবা আমস্টারডামে ফান খখ (Van Gogh)
সনে হয়ে অন্তরীণ।"
No comments:
Post a Comment