html

Saturday, May 25, 2019

দেহ্‌লিজ চতুর্থ সংখ্যা আসছে

দেহ্‌লিজ চতুর্থ সংখ্যা আসছে


দেহলিজের চতুর্থ সংখ্যার প্রকাশের সময় হয়ে এলো । আগামী রবিবার, ২৬ মে, ২০১৯ সি আর পার্কে একটি স্টুডিওতে প্রকাশ হবে দেহলিজ । এই সংখ্যার প্রকাশে উপস্থিত থাকছেন দিল্লির কবি, চিত্রকর, নাট্যকর তড়িৎ মিত্র,  কবি ,নাট্যকার বিদ্যুৎ মুখার্জী । থাকছেন দিল্লি হাটার্সের সম্পাদক কবি দিলীপ ফৌজদার, দিল্লি হাটার্স কবি প্রশান্ত বারিক । দেহলিজের কোর গ্রুপ,  কবি ও লেখকগোষ্ঠী থাকছেন সঙ্গে ।

এবারের সংখ্যায় থাকছে  একক কবিতা, গুচ্ছ কবিতা, দীর্ঘ কবিতা, দিল্লিতে লেখা কবিতা, অনুবাদ কবিতা, হিন্দি কবিতা, ভারতীয় উপমহাদেশীয় ইংরাজী কবিতা । এই প্রথম বাংলা, হিন্দি ও ইংরাজীতে একযোগে প্রকাশ হচ্ছ লেখাগুলি ।  সঙ্গে থাকুন । লেখক তালিকা এইরকম ।

সম্পাদকীয়

  • দেহলিজ-৪

কবিতা

  • সমীর মজুমদার
  • হ্যাংওভার
  • অনিন্দিতা ভৌমিক
  • সঞ্জীব নিয়োগী
  • দেবযানী বসু
  • ঔরশীষ ঘোষ
  • রেখা নাথ
  • পীযূষকান্তি বিশ্বাস
  • কৃষ্ণামিশ্র ভট্টাচার্য
  • কমল চক্রবর্তী
  • অনুপম মুখোপধ্যায়
  • দেবার্ঘ্য দাস
  • তৃণা চক্রবর্তী
  • দিলীপ ফৌজদার
  • সোনালী মিত্র
  • মিতুল দত্ত
  • রবীন্দ্র গুহ
  • মনীষা কর বাগচী
  • জ্যোতির্ময় মুখার্জী
  • অমল বসু
  • বিমল গুহ
  • তন্ময় ধর
  • নভেরা হোসেন
  • মোনালি রায়
  • শিবু মণ্ডল
  • গৌতম দাশ
  • কুবলয় বসু
  • সুকুমার চৌধুরী
  • প্রশান্ত বারিক
  • যশোধরা রায়চৌধুরী
  • মৌমিতা মিত্র

कविता

  • सुभाष नीरव
  • अंजू शर्मा
  • अलका सिन्हा
  • अनामिका
  • भगवत रावत
  • नरेश सक्सेना

Poetry

  • Aashisha Chakraborty
  • Debayudh Chatterjee
  • Reetun Roy
  • Yamunotri Basu
  • Chanakya Barai

গল্প

  • রিমা দাস
  • ঝুমা চট্টোপাধ্যায়
  • অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়
  • সুদীপ মন্ডল

অনুবাদ

  • স্বপন রায়
  • देवेंद्र कुमार देवेश
  • Agni Roy

গদ্য

  • অনিন্দ্য রায়

রিভিউ

  • ঝর্না রহমান

Friday, November 16, 2018

তৃতীয় সংখ্যা

দেহ্‌লিজ তৃতীয় সংখ্যা


দেহলিজের তৃতীয় সংখ্যার সময় হয়ে এলো । এই সময়টা বলা যেতে প্রি-কুলিং মোমেন্ট । দিল্লি শান্ত হয়ে এসেছে । চারিদিকে এত পল্যুশন, তাতেও রাজধানীতে রাজনীতির কোন বিরাম নেই । ক্ষমতালোভী আর চেয়ারপ্রিয় মানুষের দিনলিপিকায় একরকম গরমগরমী । কেউ ছত্রিশ, কেউ ছেচল্লিশ বছরের রাজপাঠ নিয়ে কেশর ঝেড়ে তেড়ে আসছেন সাহিত্যের আখড়াতেও । যমুনা কাউকেই ফেরায় না। হিন্ডন ও বয়ে চলেছে মানবজঙ্গলের কংক্রিট নিয়ে । হাইওয়ে চলেছে পবনেপুত্রের গতি নিয়ে দিকবিদিক । সুতরাং একদা এই পৃথ্বীরাজের গ্রিন দিল্লিতে যা বাকি থাকে তা হলো মৃত বহ্নিশিখার হলুদ  আস্ফালন ।  আগুন ছড়িয়ে পড়ছে হাইওয়ের দুপাশের পাঞ্জাবী ধাবায়,  আগুন লেগে আছে তরুণ প্রজন্মের লেখনীর ক্ষুরধারায় , যাকিছু পরবাস, যাকিছু ছিন্নমূলের কথা, তাতেই লেখা হচ্ছে অলিখিত মাইগ্রেটেড জনমানসের  জীবনকথা । দলবাজীতে বাজীমারা  মোটা মাথা মানুষদের কোন ধারণাই হচ্ছে না সাহিত্যে কোথা থেকে উঠে এলো ডায়াস্পোরা চিন্তা ধারা, ভাষা সংকরায়নের বীজ, শাহি দিল্লির মৌলিক অনুষংগ । ইন্দ্রপ্রস্থের উপকণ্ঠে দিল্লির বাংলা সাহিত্যের চোরা স্রোত কখন যে যমুনায় এসে একান্ত নিজস্ব মৌলিক চেহারা  নিয়েছে । খেয়াল করে নাই কেউ ।




দ্বিতীয় সংখ্যার প্রকাশ । চিত্তরঞ্জন ভবন লাউঞ্জ, সি আর পার্ক , নিউদিল্লি ।




একটা কথা যেটা সবার জানা, যমুনা দিয়ে চলে গেছে অনেক ইড্রাস্ট্রিয়াল ওয়েস্ট  মিশ্রিত জল । যমুনার কালো নিয়ে যখন দিল্লির পথযাত্রীগণ নিজেরাই থমকে দাঁড়ায় না, তবে ভিন প্রদেশের চোখে সেই কালোর বৈশিষ্ট্য কি করে ধরা পড়বে ? দিল্লির সাহিত্যকারেরা সত্যিই কি চিন্তিত এই বিষয় নিয়ে ?  নাকি রাজ্য দখলের লড়াইয়ে কাটিয়ে দেবেন নিজেদের বাংলা ও বাঙ্গালী জীবন ? অবশ্য এই কথাও জানবেন , যে কোন উত্থানেই নিহিত রয়েছে সম্ভাব্য পতনের বীজ । সে আপনি পঞ্চাশ বছর রাজত্ব করুন বা পঁয়তাল্লিশ ।

এ হেন একটা পারপ্লেক্সড সিচুয়েশনে একটা প্রশ্ন উঠে আসে ।  দিল্লির বাংলা সাহিত্যটা কি বস্তু ।  আর দেহলিজ কিভাবে তার সঙ্গে যুক্ত ।  প্রশ্নটা স্বাভাবিক । দিল্লি থেকে লেখা সাহিত্য কেই কি বলা যেতে পারে দিল্লির বাংলা সাহিত্য ? 

এটা একটা জবাব হতে পারে । "হ্যাঁ" । কিন্তু সমস্তটা নয় । আর দেহলিজ আর দিল্লির বাংলা সাহিত্যের একটা সীমা নির্ধারণ করা যাক । "হ্যাঁ" আরও একটু সংজ্ঞায়িত করা যাক । 

দিল্লির বাংলা সাহিত্য একটা কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট । সামাজিক ও ভৌগলিক অবস্থান । একটা ইকো-সিস্টেম যা বেড়ে ওঠে বহুস্বরে । ন্যাচারাল প্রসেস । কেউ সেখানে চোখ রাঙায় না, চেয়ার বাঁচানোর জন্য সাহিত্যধারাকে জলাঞ্জলি দেয় না । মতপ্রকাশের অবাধ অধিকার থাকে । কেউ কাউকে ভয় পায় না । ধর্ম, জাতি, ধনী, গরীব, অফিসার কেরানী ভেদাভেদ থাকে না । সাহিত্য ধারনাকে সামনে রেখে বেড়ে ওঠে কমিউনিটি । 


দিল্লির বাংলা সাহিত্য কোন সংঘ নয়, কোন প্রেসিডেন্ট নেই । কোন মাসিক চাঁদা নেই । দিল্লির বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লেখক কবি নাট্যকারদের কমিউনিটি ফোরাম । সাহিত্য ধারণার আদান প্রদানের স্থান । কখনো অনলাইন, কখনো সাহিত্য আড্ডায় হলো আমাদের মিলন ক্ষেত্র । 


দিল্লির অনুষঙ্গে লেখা সাহিত্যের নাম দিল্লির বাংলা সাহিত্য ।  এর জন্য সত্যিই দিল্লিতে বাস করা বাধ্যতামূলক নয় । দিল্লি অঞ্চলের বাংলা কবি , লেখক, নাট্যকারদের নিয়ে এই সাহিত্য কমিউনিটি গঠন করা হলেও এর মূলে থাকছে সাহিত্যে দিল্লির নিজস্ব স্বাদ ।


কি করে ধরা যাবে দিল্লির নিজস্ব স্বাদ ? কি করে আলাদা করা যাবে দিল্লির বাংলা সাহিত্য ? কিংবা দিল্লির সাহিত্য ও কলকাতার সাহিত্য আলাদা হয় নাকি - এই রকম প্রশ্ন চলে আসছে । কেন এই আঞ্চলিক বিভাজন ?  


বিভাজন তো একটা আছে । বিভাজনটা মানুষ বা দলবাজির নয় । দিল্লির বাংলা সাহিত্য একটা বিশ্বাস । দিল্লিকে বিষয় করে নিয়ে লেখা সাহিত্য । সেটা হতে পারে গল্প, হতে পারে কবিতা, উপন্যাস । দিল্লির পটভূমিকায় আঁকা ছবি, অভিনয় করা নাটক ও হতে পারে ।  দিল্লির ইতিহাস, রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক অবস্থান যা যেকোনো দিন ঢাকা বা কলকাতা থেকে আলাদা । সুতরাং দিল্লির অনুষঙ্গ, বিষয়, চিন্তা,  ভূত ভবিষ্যৎ আলাদা হবে । দিল্লির খাবার, দিল্লির পোশাক, দিল্লির স্লোগান আলাদা হবে । এমন কি চুমু খাওয়ার ধরন ও চুমু খাওয়ার সময় ঠোঁটে লবণের মাত্রায় ফারাক নজরে আসবে ।


এখানেই দেহলিজ । এখানেই বিংগো । ডিজিটাল ভবিষ্যতের অঙ্কুরোদগমের অবকাশ । ডকুমেন্টেশন হয়ে ওয়েবে ওয়েবে ছড়িয়ে পড়বে দিল্লির সাহিত্য চিন্তাধারা । লাইব্রেরীর কালকুঠুরীর অতল তলে ধুল খাওয়া পত্রিকায়  উইপোকার খাদ্য না হয়ে গুগল, বিং , ইয়াহু সার্চে উঠে আসবে দিল্লির কবিদের নাম । দিল্লির সাহিত্য নিয়ে আলোচনা হবে ফোরামে ফোরামে ।
  

সুতরাং তা ভাষায় পরিলক্ষিত হবে । দিল্লির বাংলা ভাষা ।  এইটাই দিল্লির সাহিত্যের বীজ, এটাই দিল্লির সাহিত্য চিন্তা । দেহ্‌লিজ সেই সাহিত্য চেতনার প্রকাশ । দিল্লির লেখক, দিল্লির মনের মানুষের মত লেখা নিয়ে দেহ্‌লিজ প্রকাশিত হলো । আপনারাও সামিল হয়ে যান দিল্লির সাহিত্য চেতনার সঙ্গে ।


Contacts:

Group Admin: Pijush Biswas
Email: poet.area@gmail.com
Mob: 09871603930
WhatsApp: https://chat.whatsapp.com/KC7rlh3e6vi2y9sHuj6rhZ
Facebook: https://www.facebook.com/groups/460145007433208/








  

   

দ্বিতীয় সংখ্যা

দেহ্‌লিজের দ্বিতীয় সংখ্যা




দিল্লির পক্ষে দেহ্‌লিজ একটি স্ট্রং পদক্ষেপ । দিল্লির হাতে গোনা লিটল ম্যাগাজিন, ওয়েবজিন, তাদের দুএকটি ম্যাগাজিন ছাড়া প্রায় পত্রিকাগুলি অনিয়মিত, এবং তা চরম ভাবেই স্বাভাবিক । এটাই দিল্লির বাংলা সাহিত্যের বৈশিষ্ট্য । দিল্লির কি নিজস্ব সাহিত্য চরিত্র থাকতে পারে ? সাহিত্যে কি ভৌগলিক বলে কিছু হয় ? যেখানে ভাষাটা এক ।

এ এমন একটা জরুরী বিষয়, যেখানে কোন স্ট্যাম্প মারা সিদ্ধান্ত দেওয়া যাচ্ছে না দিল্লি বাংলা সাহিত্যের কাছে বিরাট কিছু দৃষ্টান্ত, কিন্তু একটা বিশ্বাস তো করাই যায় যে দিল্লির নিজস্ব একটা বিষয় আছে ?  বৃহত্তর বৃত্ত থেকে আলাদা করে ক্ষুদ্রতর গণ্ডির ভিতর কিছু কি সৃষ্টিশীল থাকতে পারে ?

ডায়াস্পোরা নিয়ে কথা হয়, দিল্লির বাংলা শব্দে হরিয়ানভি ঠাট্‌ , বরিশালের গাংচিল আর রংপুরের লালমাটির মত স্পষ্ট । তো জাহির হে, বাংলাকে শুদ্ধ বাংলা বলতে যত প্রয়াসই হোক, আমরা আরাবল্লির মাটির গন্ধকে কি করে ভুলে যাই ?




তাহলে দিল্লি থেকে এতদিন ধরে আর কি লিখছি আমরা ? 

কিছুটা ক্লোন, কিছুটা স্মৃতি,  নাকি ঢাকা কলকাতা থেকে আগত সাংস্কৃতিক চর্চা । এটা দিয়েই শুরু, কিন্তু এইভাবে রিং রোড বরাবর হাঁটতে থাকলে আপনি একটা ডেভিয়েশন দেখতে পাবেন, জলবায়ু থেকে কিভাবে জলীয়বাষ্প উধাও ।  এই শহরে এসে ঘিরে বসেছে  রাজধানী , সি আর পার্ক,  কালকাজী , গোল মার্কেট,  কারোল বাগ, দ্বারকা, মহাবীর এনক্লেভ, নয়ডার বিভিন্ন সেক্টরে বাঙালি কলোনী । ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বাংলা বসতি । লোক মুখে শোনা বাইশ লক্ষ বাঙ্গালির বাস ।  তো এতো বাঙ্গালী দুই দুটো বাংলা(প্র)দেশ থাকা স্বত্বেও এখানে কি করছে ?

যেটা করছে, সেটা উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, বিহারেও করছে ।  যেটা নিয়ে তর্ক সেটা রাজনৈতিক, যেটা নিয়ে সমস্যা সেটা জনসংখ্যা, যেটা নিয়ে প্রশ্ন সেটা খাদ্য আর যেটা নিয়ে যাপন তা হল বাংলা । সুতরাং যেটা হারালো , সেটা দেশ, যেটা আক্রান্ত সেটা ভাষা, আর যেটা নিয়ে বাঁচা তা হল বিশ্বাস , তা হল নিজস্বতা । আমাদের নিজের কি কোন চরিত্র আছে ? 

আছে । বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর । একবার কুতুব মিনারের গায়ে হাত দিয়ে দেখুন, একবার যমুনায় পা ডুবিয়ে দেখুন, এক মধ্য রাতে ইন্ডিয়া গেট, এক দুপুরে খুনি দরবাজা , এক জানুয়ারিতে লোধী গার্ডেন, এক ফেব্রুয়ারিতে হুমায়ুন টমে বোঝা যায় ভারতবর্ষের কৈশোর, ইতিহাসের যৌবন, আর পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রের অবয়ব রাইসিনা হিলস । এই হল দিল্লি ।   

আর যারা আরাবল্লির মাটির গন্ধ পাননি, যমুনার জলে স্রোতের আওয়াজ শোনেননি, লাল কিলার পাথর ছুঁয়ে ইতিহাস অনুভব করেন নি ,  তিনি এতো বছর  রন্ধ্রে রন্ধ্রে এই জলবায়ুর নমক খেয়েও এখনো দিল্লিকে গ্রহণ করে উঠতে পারেন নাই । না ঘরকা , না ঘাট কা । 

দেহ্‌লিজের জন্ম নিয়ে অনেক উন্মাদনা । দিল্লির পাথরবুকের সজীবতার ছোঁয়া । সুদূর ওমানীয় ধূলিঝড় উড়িয়ে নিয়ে গেলো পল্যুশন, রাজধানী একরকম আর দিলবাজী অন্যরকম, দিল্লির শাহী জলবায়ুতে কলার পুন প্রবেশের মাঝদিয়ে এই ডিজিটাল দৌড়ের সূচনা । তো জাহির, হে এখানে পলিটিক্সের পাশ ঠেলে দাঁড়িয়ে উঠেছে কবিয়ালের দেওয়াল ।

দেহ্‌লিজ, ডোমেনের আশেপাশে গড়ে উঠেছে, প্রথম সংখ্যায় পদার্পণ প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার । লেখক ছিল, ৩৭ জন । সমস্তই দিল্লির আয়োজন বললে তেমন ভুল বলা হয় না ।  দিল্লির লেখকদের বেশীর ভাগ মাইগ্রেটেড ,  কিছু দ্বিতীয় প্রজন্মের, কিছু তৃতীয় প্রজন্মের । আর কিছু পরিযায়ী ।  দিল্লির লেখক কমিউনিটি ডেভেলপ হচ্ছে দ্রুত ।  এর মাঝেই জন্ম নিলো দেহ্‌লিজ, তার ওয়েব এড্রেসের জন্য ডোমেন নেওয়া হল ।

আপনিও বুকমার্ক করে নিন -  http://www.dehlij.com

Facebook Comments